মনসুর মহসিন, চকরিয়া, কক্সবাজার।
কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ০৭নং ওয়ার্ডের পূর্ব বানিয়ারকুম গ্রামের একমাত্র চলাচলের রাস্তার বেহাল দশা! এই রাস্তাটি প্রয়াত কুদ্দুস মিয়া চেয়ারম্যান ও গিয়াস উদ্দিন মেম্বার আমলে মাটি ভরাট হলেও বিগত ৩৫/৪০ বছরে উল্লেখযোগ্য কোন সংস্কার হয়নি। বর্ষাকালীন বন্যায় পলিমাটির প্রলেপ পড়ে মানুষের ভিটা ও চাষের জমি রাস্তা থেকে ১/২ ফুট উঁচু হয়ে যায়। তাই বৃষ্টি হলেই মানুষের ভিটা ও নাল জমির পানি রাস্তায় এসে জমে যায়। এই রাস্তা দিয়ে আর হাঁটা চলার কোন উপায় থাকে না।
পূর্ব বানিয়ারকুমের লোকজন মূলত কৃষি নির্ভর। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন কৃষকের আনুমানিক ৫০ হেক্টর জমির ফসল প্রতিদিন কাঁধেবয়ে বাজারে নিয়ে যায়। এতে কৃষকের দুর্ভোগের শেষ নেই।
বিষয়টি নজরে আনতে এলাকাবাসী স্থানীয়
সংসদ জাফর আলম এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ শামসুল তাবরীজ ও জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন সাধারণ জনগণ।
পূর্ব বানিয়ারকুমের জনগণ অসহায় ও অবহেলিত।
স্থানীয় পথচারী সুলতান আহমদ বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে চেয়ারম্যান আসল গেল কিন্তু কোন চেয়ারম্যান রাস্তায় এক কোদাল মাটিও দেয় নাই।এমনকি কেউ দেখতেও আসেনা। আজ আমাদের কষ্টের শেষ নাই।
স্থানীয় মিজানুর রহমান টুটুল বলেন, ১২/১৪ বছর আগে ভরাট ছাড়াই শাহ জাহান চেয়ারম্যান ও পরে শরীফ উদ্দিন চৌধুরী এটি সংস্কার করলেও প্রতি বছর বন্যার পানির সাথে পলি মাটি এসে জমি ও ভিটে উঁচু হয়ে যাওয়ায় রাস্তার অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। এই রাস্তাটি কমপক্ষে দুই ফুট উঁচু করতে হবে।তাহলেই রাস্তাটি কিছু দিন টেকসই হবে বলে তিনি জানান।
এই রাস্তা দিয়ে ইয়াংছা-শান্তিবাজার সড়কের সাথে এবং ঢাকা-কক্সবাজার মহা সড়কের সাথে সহজে যোগাযোগ করা যায়।
এই রাস্তাটি লক্ষ্যারচর ২নং ওর্ডের হাজী পাড়া জামে মসজিদ থেকে সোজা উত্তর দিকের রাস্তাটি হাজী পড়া পূর্ব বানিয়ারকুম হয়ে ডলমপীর সাহেবের মাজারের পাশে চৌধুরী বাজারে উঠে গেছে। হাজী পাড়া দিয়ে রাস্তার কিছু অংশ লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের বাকি অংশ কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড। দুই ইউনিয়নের লোকজনের চলাচলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি সংস্কার করতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।