চকরিয়া কক্সবাজার প্রতিনিধি
চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের উত্তর মছনিয়া কাটায় পান চাষিদের কাছ থেকে বন বিভাগের নামে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বারবাকিয়া রেঞ্জের অধীনে পহরচান্দা বন বিটের আওতায় বরইতলী ও হারবাং ইউনিয়নের পশ্চিম দিকের বনভূমিতে রয়েছে প্রায় ৪০ টির মতো পানের বরজ রয়েছে। এসব পান বরজের মালিকগন স্থানীয় চাষা ও গরীব শ্রেণির কৃষক। সারাবছর পান উত্তোলন করে কোন রকম সংসার চলে তাদের।
সরেজমিনে জানা যায়, বছরে দুইটি পানের সিজন। প্রতি সিজনে স্থানীয় আব্দুল্লার পুত্র মহি উদ্দিন ও পহরচান্দা বন বিটের হেডম্যান মোক্তার মাঝির যোগসাজশে প্রত্যেকটি পানের বরজ থেকে বিট বন কর্মকর্তার নামে একহাজার, তদের জন্য দেড় থেকে তিন হাজার টাকা ক্ষেত্রবিশেষে পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেন পান চাষিরা।
বরইতলী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড উত্তর মছনিয়া কাটার করিম উদ্দিন নামক এক কৃষক প্রতিনিধি কে বলেন, মছনিয়া কাটার মহিউদ্দিন ও মোক্তার মাঝি বছরে দুইবার তাদের কাছ থেকে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন।
হারবাং ইউনিয়নের নং ওয়ার্ডের পান চাষি আব্দুল কাদের বলেন, ফরেস্ট অফিসার সহ এসে আমাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে। ওনাদের চাহিদা মতো টাকা দিতে না পারলে আমাদের পানের বরজ ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেন। আবার অনেকের পানের বরজ ভেঙে দেওয়ারও অভিযোগ তুলে এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তাদের থেকে টাকা আদায়ের প্রতিবাদ জানান।
সন্ত্রাসী ও চান্দাবাজদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী।
পহরচান্দা বিট বন কর্মকর্তা শামসুল হক বলেন, বন বিভাগের জমিতে পানের বরজ গুলো, তাই তাদের উচ্ছেদ করা আমাদের সরকারি দায়িত্ব। হেডম্যানের মাধ্যমে টাকা আদায়ের কথা তিনি অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বার বাকিয়া রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুল গফুর মোল্লা বলেন, আমাদের লোক বলের অভাবে সরকারি বনভূমি সঠিক ভাবে রক্ষা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। পানের বরজ থেকে টাকা আদায়ের বিষয়ে তিনি অবগত নন জানিয়ে বলেন, বন বিভাগের নামে অনৈতিক ভাবে কেউ টাকা আদায় করলে তাদের ছাড় দেবেন না বলে নিশ্চিত করেন।