চকরিয়া প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের চকরিয়ায় কিশোরী অপহরণ মামলায় ১নং আসামী আবদুল আমিন কে গ্রেফতারপূর্বক জেল হাজতে প্রেরণ করেছে চকরিয়া থানা পুলিশ।
ভিকটিমের মা বুলবুল আক্তারের অভিযোগের ভিত্তিতে এই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।
বাদীনির অভিযোগে জানা যায়, বাদীনির মেয়ে ডেমুশিয়া মোহছেনিয়া মাদ্রাসার ছাত্রী। মাদ্রাসায় আসা যাওয়ায় আসামী আবদুল আমিন প্রতিনিয়ত উত্যাক্ত করতো এবং কু-প্রস্তাব দিত। তার কু-প্রস্তাবে রাজী না হলে ভিকটিম কে অপহরণ করবে বলে বারবার শাসিয়ে যায়। গত ১০ জুন ভিকটিম তার ফুফির বাড়ীতে বেড়াতে যাওয়ার প্রক্কালপ আসামী আবদুল আমিন, ছাবের আহমদসহ ১০/১২ জন অজ্ঞাতনামা লোকজন ভিকটিমের মা কে মারধরপূর্বক ভিকটিমকে জোরপূর্বক সিএনজি গাড়ী যোগে অজানার উদ্দেশ্য নিয়ে যায়। ঘটনার পর ভিকটিমের মা বুলবুল আক্তার চকরিয়া থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন। এজাহার আমলে নিয়ে থানা পুলিশ তৎপর হয়ে উঠে, যার প্রেক্ষিতে থানা পুলিশের চৌকস দল চট্টগ্রাম পতেঙ্গা থানার সহযোগিতায় আসামীকে গ্রেফতার করে এবং ভিকটিমকে উদ্ধার পূূর্বক চকরিয়া থানায় নিয়ে আসে।
বাদীনি বুলবুল আক্তার তার মেয়েকে দ্রুত সময়ে উদ্ধার করার জন্য চকরিয়া থানা পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আসামী আবদুল আমিন একজন সন্ত্রাসী ও খারাপ প্রকৃতির লোক, সে এলাকার অনেক মেয়েকে বিভিন্ন সময়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নষ্ট করেছে। তিনি আসামীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী জানান।
মামলার ০২ নং আসামি ছাবের আহাম্মদ চাঞ্চল্যকর জিয়াবুল হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, দীর্ঘদিন সাজা ভোগ করে এলাকায় এসে বিভিন্ন কিশোর গ্যাংয়ের সাথে অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত।
উল্লেখ্য, ভিকটিমকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানাধীন ৪০ নং ওয়ার্ডের খালপার এলাকায় নেজাম উদ্দিন জামে মসজিদের পাশে বর্মাপাড়া বারেক কলোনি থেকে উদ্ধার করা হয়।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শাকের মুহাম্মদ যুবায়ের বলেন, অপহরণ মামলার একজন আসামি গ্রেফতার হয়েছে, তাকে কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।