মনসুর মহসিন, চকরিয়া, কক্সবাজার।
চকরিয়ায় প্রথম বারের মতো এ্যাজমা ও শ্বাসকষ্ট রোগীদের চিকিৎসা বিষয়ে পালমোনারি রিহ্যাবিলিটেশন কর্মশালা ও সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। কক্সবাজার এ্যাজমা সেন্টার এর পরিচালক ও লামা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মহিউদ্দিন মাজেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার রাত আটটায় চকরিয়া ম্যাক্স হাসপাতালের হল রুমে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশ বরেন্য চিকিৎসক, জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা এর সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ রাশিদুল হাসান। পালমোনারি রিহ্যাবিলিটেশনের উপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, আমরা যদি খুব বেশি পরিশ্রম করি তাহলে সবারই হাঁফ (হাঁফানী) লেগে যায়, এটাই স্বাভাবিক। ‘তাহলে কি পরিশ্রম না করাই ভালো’ এমনটাই আগেরকার দিনের মানুষের ধারণা ছিল। গবেষণায় দেখা যায়, যদি আপনি হাঁফ লাগার ভয়ে শারীরিক ভাবে সক্রিয় না থাকেন বা পরিশ্রম না করেন তাহলে আপনার শারীরিক অক্ষমতা বেড়ে যাবে। তাই আপনাকে নিরাপদে ব্যায়াম করতে হবে। প্রয়োজনে ব্যায়ামের পূর্বে উপশমকারী ইনহেলার ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
অনুষ্টানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন ডাঃ ফাতেমা ইয়াসমিন ও ডাঃ জি এম মনসুর হাসান প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ প্রাইমারি কেয়ার রেসপাইরেটরী সোসাইটি।
এ্যাজমা সেন্টার চকরিয়া শাখা কর্তৃক আয়োজন করা এই সায়েন্টিফিক ওয়ার্কশপে চকরিয়া ও আশেপাশের প্রায় ৫০ জন এমবিবিএস ডাক্তার এবং চকরিয়ায় কর্মরত ১০ জন সাংবাদিক অংশগ্রহন করেন। অতিথিদের আসন গ্রহনের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ডাঃ মহিউদ্দিন মাজেদ চৌধুরী। হাঁপানীর প্রাথমিক চিকিৎসা ও হাপানী নির্ণয়ের পরীক্ষা এবং বিভিন্ন ডিভাইস এর ব্যবহারে প্রাথমিক পালমোনারী রিহ্যাব বিষয়ে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
আগত অতিথিদের ধন্যবাদ ও এ্যাজমার বিভিন্ন দিক মেনে চলার জন্য সবাইকে আহবান জানিয়েছেন অনুষ্ঠানের সভাপতি ডাঃ মহিউদ্দিন মাজেদ চৌধুরী।
আলোচনা শেষে র্যাফেল ড্র ও রাতের খাবার বিতরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সফল সমাপ্তি হয়। ##