চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধিঃ
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চকরিয়া উপজেলার পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নে কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি ? এমন প্রশ্ন উঠেছে সর্বত্রই। চকরিয়া উপজেলার ১০ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানার ৭ ইউনিয়নের মধ্যে পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়নের নির্বাচন নিয়ে সাধারণের মাঝে কৌতুহল বেড়ে গেছে। এই ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা। তিনি ২০১৪ সালেউপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করে দল থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন এবং উক্ত নির্বাচনে তিনি জামানত বাজেয়াপ্ত হন।২০১৪ সালে ১৬ ফেব্রুয়ারী কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগ কতৃক স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ ও করেছিলেন।গত নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে সমালোচিত হয়েছেন অনেক সময়। কঠোর লকডাউনের সময় ইলিশিয়া জমিলা বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ের ভিতরে পশুর হাট বসিয়ে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিলেন পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান। তার বিরুদ্ধে রয়েছে স্লুইস গেইট দিয়ে লবন পানি ঢুকিয়ে শতশত একর জমি চাষাবাদ করতে না দেওয়া, নিজের ক্ষমতা বলে ইলিশিয়া বাজার বছরের পর বছর নিজের কাছে কুক্ষিগত রাখা সহ নানান গঠনার জন্ম দেওয়া এই চেয়ারম্যান আবারও কি নৌকা প্রতীক বরাদ্দ পাচ্ছে? এমন প্রশ্ন সর্বত্র।
অন্যদিকে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা অভিযোগ গুলো অস্বীকার করেন এবং এগুলো তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে জানান। তার ঘনিষ্ঠজনেরা বলে বেড়াচ্ছে তিনিই নাকি আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ পাচ্ছেন!
এই ইউনিয়নে নৌকার মনোয়ন পাওয়ার যোগ্য দাবিদার হিসেবে মাঠে সরব রয়েছেন মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা ছাত্রলীগের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট রবিউল এহেছান লিটন। তিনি বিগত ছয়/সাত বছর ধরে এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কাজ কর্ম করে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনসাধারণ। ইলিশিয়া এলাকার প্রবীণ মুরব্বি এরফান উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এই নির্বাচনে তরুণ প্রার্থী রবিউল এহেছান কে নৌকা প্রতীক দিলে, তিনি অনায়াসে পাশ করতে পারবেন। দরবেশকাটা এলাকার বাসিন্দা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সজিব মোস্তফা বলেন, রবিউল এহেছান ছাড়া অন্য কাউকে নৌকা প্রতীক দিলে পাশ করা কঠিন হয়ে যাবে। এটি পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নের অধিকাংশ ভোটারের মন্তব্য।