চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের চকরিয়ায় জুয়াড়িকে শাস্তি দেওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার, তথ্যসেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের নামে মামলা। হয়রানি মুলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি এস,এম রায়হান।
৩মে সন্ধ্যায় বিএমচর স্টোর স্টেশনে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার, উদ্যোক্তা ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে মিথ্যা ও হয়রানি মুলক মামলায় আসামি করা হয়েছে। অবিলম্বে এই ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
স্থানীয় এমইউপি আবদুল হামিদ (মেম্বার) জানান, সালাহ উদ্দিন একজন জোয়াড়ী ও পতিতাবৃত্তি ব্যাবসায়ী। বি এম চর ইউনিয়নের একমাত্র হিন্দু পরিবার (আশ্রয়ন প্রকল্পে বসতি) জৈনক পেন্ড়ু দাশের ছোট ছেলে নুনু দাশ (১২)কে নিয়ে ৩০ এপ্রিল দুপুরে স্থানীয় জুয়াড়ি সালাহ উদ্দিন জোয়া খেলার সময় তার মা শিখা রাণী দাশ তাৎক্ষণিক ভাবে ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানালে, চেয়ারম্যান সাহেব ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩জন গ্রাম পুলিশ (দফাদার সহ) পাঠিয়ে তাদেরকে পরিষদে হাজির করতে বলেন। গ্রাম পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জুয়াড়িরা পালানোর সময় শিম লতায় আঘাত প্রাপ্ত অবস্থায় সালাহ উদ্দিনকে আটক করে ইউনিয়ন পরিষদে হাজির করা হয়।
বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাৎক্ষণিকভাবে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জামাল উদ্দিন মনু ও ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা মোঃ জুনাইদুল ইসলামের জিম্মায়, ভবিষ্যতে কোনদিন জুয়াখেলা ও পতিতাবৃত্তি ব্যবসা করবেনা মর্মে মুচলেকা দিয়ে পরিষদ থেকে নিজ বাড়িতে চলে যায়।
এদিকে জোয়াড়িকে শাস্তি দেওয়ার ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চেয়ারম্যানের প্রতিপক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে, চেয়ারম্যান, মেম্বার, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তার নামে চকরিয়া থানায় মিথ্যা ও হয়রানি মুলক মামলা করেছে বলে জানিয়েছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হোজাইফ আলম পাওয়েল। তিনি আরও বলেন, আমি ৩০মে ঘটনার দিন এলাকায় ছিলাম না, তার পরেও আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। আমি
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও তথ্যসেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা জুনাইদুল ইসলাম বলেন, জুয়া খেলা থেকে ধরে আনা সালাহউদ্দিনের বাড়ি আমার এলাকায় হওয়ায় স্থানীয় মেম্বার ও আমার জিম্মায় তাকে ছেড়ে নেওয়া হয়। উক্ত ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে উল্টো আমাদের নামে মিথ্যা ও হয়রানি মুলক মামলা করেছে বলে জানতে পেরেছি। আমরা তা আইনী ভাবে মোকাবেলা করবো।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান এসএম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জুয়াখেলারত অবস্থায় গ্রাম পুলিশের কাছে হাতেনাতে ধরা খাওয়া সালাহউদ্দিনকে ইউনিয়ন পরিষদে হাজির করা হলে, বিষয়টি মাতামুহুরী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আবদুল জব্বার কে অবহিত করি এবং ওনার পরামর্শে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রাম আদালত পরিচালনা করে, তাকে স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। ছবিঃ জুয়াখেলা অবস্থায় সালাহ উদ্দিন।