চকরিয়া প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের চকরিয়া কোনাখালী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড সিকদার পাড়ায় এক অসহায় পরিবারের বসতবাড়ি দখলের উদ্দেশ্যে বহিরাগত লোক দিয়ে হামলা চালিয়ে বসতবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে একদল সশস্ত্র দখলবাজ সন্ত্রাসীর দল। এ সময় বসত ঘরের মালিক বদরুন নাহার কলি বাঁধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা মহিলাটিকে একা পেয়ে মরধর করে আহত করে।
এই বিষয়ে আবুল হোসেন সওদাগরের পূত্র জাহেদ উদ্দিন চৌধুরী বাদী হয়ে গত ২৯ মে চকরিয়া থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন। এর আগেও বাদী ১৬ মে আসামীদের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরির আবেদন করেন।
অভিযোগে জানা যায়, বাদীর কোনাখালী সিকদার পাড়ায় পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমির উপর পাঁকা বাড়ী নির্মাণ করে দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস করে আসছেন। বসতবাড়িতে গরু, মহিষ ও চুর ডাকাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বাড়ির চার পাশে সীমানা পিলার দিয়ে ঘেড়াবেড়া দিয়েছেন।
গত ১৫ মে বিকালের দিকে বাড়ীর পুরুষ সদস্যদের অনুপস্থিতির সুযোগে স্থানীয় নুর আহমদ কাদেরীর পূত্র মনজুর আলমের নেতৃত্বে তার আপন ভাই শহিদুল ইসলাম, মকছুদ আলম,সরওয়ার আলম,হাফেজ জিয়াবুল কাদের,মনছুর আলম,ওমর হাকিম সহ অজ্ঞতা নামা ৭/৮ জন বসতঘরে অনুপ্রবেশ করে বসতবাড়ি ভাংচুর ও হামলা চালিয়ে মোঃ জাহেদ উদ্দিন চৌধুরীর স্ত্রী বদরুন নাহার কলিকে আহত করে টেংরা ঝলি, সীমানা পিলার, তারের বেঁড়া,সুপারী চারা ও বৈদ্যুতিক লাইন উপড়ে ফেলে বিচ্ছিন্ন করে।
ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। স্থানীয় চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদারের মধ্যস্ততায় উভয়ের সম্মতিতে সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও ২য় দফায় গত ২৯ মে দখলবাজেরা আবারও হামলা চালিয়ে সীমানা পিলার ও তারের বেড়া উপড়ে ফেলে।
এ ব্যাপারে বিবাদী পক্ষের লোকজন জানান,জাহেদের ভিটায় আমাদের জায়গা রয়েছে তাই আমরা জায়গা উদ্ধারের জন্য সীমানা পিলার সহ তারের বেড়া উপড়ে ফেলেছি।
এ বিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শাকের মোঃ যুবায়ের বলেন- বাদী পক্ষ দীর্ঘ দিন ধরে বসতী গড়েছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি।বাদীর একটি লিখিত এজাহার আমরা পেয়েছি, তদন্তপূর্বক আসামি দের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।