চকরিয়া, কক্সবাজার
কক্সবাজারের চকরিয়ায় হেফজখানায় সন্তানকে বলাৎকারের বিচার চাইতে গিয়ে উল্টো মা-বাবা, নানি সহ ৪জনকে পেঠালেন ইউপি সদস্য । উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের রিংভং নতুন মসজিদ তাজবিদুল কোরআন হেফজখানায় ৩০জুন ভোরে বলৎকার ও হামলার এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বলৎকারের শিকার ছাত্রের মা বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু এজাহার জমা দেওয়ার ২৪ ঘন্টা হলেও পুলিশ এখনো মামলা নেয়নি উল্টো প্রত্যাহার করার জন্য সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন বলে ভিকটিমের মা অভিযোগ করেন।
বলৎকারের শিকার ছাত্রের পিতা ঘটনার বিষয়ে জানার জন্য হেফাজখানা পরিচালনা কমিটির সভাপতি রফিকের কাছে জানতে চাইলে উল্টো সে ও স্থানীয় সন্ত্রাসী আমির হামজা সহ ৫/৬ জন মিলে ছাত্রের পিতা, মাতা, নানি, ও ফুটবলার নজরুল বাবু কে বেড়ক মারধর ও শারিরিক নির্যাতন করে।
তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, ছেলেকে বলৎকার বিষয়ে চকরিয়া থানার অভিযোগ দিলে থানা পুলিশ এখনো কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য রফিক মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনার বিষয়টি আমি জানি, কিন্তু বলৎকারের ঘটনাটি চকরিয়া থানার এসআই জিয়া করোনার পরে বসে ঠিক করে (মিমাংসা)করবেন বলে জানান।
চকরিযা থানার অফিসার ইনচার্জ শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, বলৎকারের একটি অভিযোগের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে থানার এসআই জিয়া উদ্দিন কে ঘটনা স্থলে পাঠানো হয়। তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি। মারামারির বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।